top of page

১৯৪৭ সালে ‘পাকিস্তান’ রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব বাংলার বাঙালি জনগণের ওপর শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতন। এ অসহনীয় অবস্থা ও বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। তাঁর এই কর্মসূচী অতি দ্রুত বাঙালি জনগণের নিকট সমাদৃত হয়।

 

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আইনসভার ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জয়লাভ করে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের (জাতীয় পরিষদ) অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু জুলফিকার আলী ভুট্টো, খান আব্দুল কাইয়ুম খানের মতো কূচক্রী রাজনীতিবিদ ও কিছু উচ্চপদস্থ জেনারেলসহ পশ্চিমা কায়েমি স্বার্থগোষ্ঠীর কুপরামর্শে ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত ও হঠকারী ঘোষণায় বাঙালি জনগণ আশাহত ও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু বাধ্য হয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। জনগণ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দেয়। একাত্তরের মার্চের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে দৃঢ় ও উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ কালরাতে অপারেশন সার্চলাইট নামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের হাতে বন্দী হবার পূর্বেই বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালি জনগণ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তাঞ্চলে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হয়। পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পায় লাল-সবুজের পতাকা শোভিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।  

১৯৭১ দিনপঞ্জি

850.00৳ Regular Price
637.50৳Sale Price
  • মো. মোজাম্মেল হক

bottom of page