জনপ্রিয় পেশাজীবী ও চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। দেশের চিকিৎসকসমাজের প্রিয় নেতা ডা. মিলন তার নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে হয়ে উঠেছিলেন রাজনীতিবিদ, পেশাজীবীসমাজ, নাগরিক সমাজের এক প্রিয় মুখ। তিনি আজীবন গণমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য লড়াই করেছেন, যাতে এ দেশের সাধারণ মানুষ তার ন্যূতম চিকিৎসাসেবা পায়। তিনি লড়াই করেছেন চিকিৎসকসমাজের অধিকার আদায়ের জন্য, যাতে চিকিৎসকেরা নিজের মর্যাদা সমুন্নত রেখে কাজের ন্যূনতম সুযোগ ও পরিবেশ পান। ডা. মিলন ছিলেন রাজনীতিসচেতন। সবসময় দেশের মানুষের অধিকার এবং মর্যাদা কোন পথে কায়েম কা যায়, সেই ভাবনায় ব্যস্ত থাকতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সমাজ পরবির্তনে পেশাজীবী আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জাতির কল্যাণে কীভাবে কাজ করা যায়, সেই ভাবনায় বিভোর থাকতেন।
শহীদ ডা. মিলনকে কাছ থেকে যেমন দেখেছি, বুঝেছি-সেসব নিয়ে আমার লেখাগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রবন্ধ নিয়েই এ আয়োজন। বইটি পড়লে ডা. মিলন সম্পর্কে একটা ধারণা হবে বলে আমার বিশ্বাস।
৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ডা. মিলন
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান