সাহিত্যের সবচে’ কার্যকর মাধ্যম হচ্ছে ছড়া। ছড়ায় যা কিছু বলা যায়, তাই সবার আগে পৌঁছে যায় পাঠকের কাছে—সহজে, স্বাচ্ছন্দ্যে। পাঠকের কাছে সহজে বোধগম্য হয় ছড়ার বার্তা । আর তাই মুহূর্ত লাগে যদি কারোর কাছে কোনো বিষয়ে বক্তব্য পৌছে দিতে চাই। বাংলা সাহিত্যে ছড়া একটি শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে আছে। যে কোনো সময় যে কোনো পরিবেশে, অনুকূল ও প্রতিকূল হাওয়ায়, ছড়াকাররা প্রয়োগ করেন তাদের কলম। ছড়ার ছন্দে তুলে ধরেন প্রেক্ষাপট, পরিবেশ, প্রতিবাদ, সমর্থন, ইতিহাস ও প্রতিক্রিয়া। জন্ম থেকে সংগ্রাম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনাই ছড়াকাররা উপলব্ধি করেন। সেইসব প্রাসঙ্গিক ঘটনার মধ্যমণি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারা লিখেছেন ছড়া। ছড়ায় নানাভাবে ইতিহাসকে তুলে। ধরেছেন ছড়ার ছন্দে।
প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতার পাশাপাশি ছড়ার একটি বিশাল জগতে উজ্জ্বল হয়ে আছে আমাদের জাতির পিতার শৈশব, কৈশোর ও সংগ্রামী জীবন। এই সংকলনে এমন ১৩৩টি ছড়া/পদ্য সংকলিত করা হয়েছে। আশা করছি, ছড়াগুলো পাঠকের উপলব্ধিকে জাগ্রত করবে। অনুধাবন করতে সাহায্য করবে আমাদের দেশ ও দেশের স্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে। নতুন প্রজন্মকে উপহার দেবে তার ইতিহাস। এই সংকলনটি প্রকাশের মধ্যদিয়ে আগামী প্রকাশনী আরেকটি দায় পূরণ করল বলে আমরা মনে করি।
বঙ্গবন্ধু শতবর্ষে শতছড়া
ফারুক হোসেন