সুলতানা’স ড্রিম প্রকাশ থেকেই বেগম রোকেয়া নারীবাদী আন্দোলনের পথিকৃতের স্বীকৃতি পেয়ে আসছেন। কিন্তু প্রায় সোয়াশ বছর পর এই বইয়ে প্রথমবারের মতো একই গল্পকে আদর্শ বিজ্ঞান কল্পকাহিনি বলে প্রমাণ করা হয়েছে। রোকেয়া এই গল্পে নারী বিজ্ঞানীদের নির্মিত কাল্পনিক বিমান ভ্রমণ, সৌররশ্মিকে নলে ঢুকিয়ে আলো ও তাপের ব্যবহার, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে কৃষিকাজ এবং তৎকালীন বিজ্ঞান থেকে এগিয়ে থাকা আরো অনেক কল্পনা করেছেন যা পরবর্তীতে বাস্তব প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরেকটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক গল্প ও প্রবন্ধও লিখেছেন। এসব থেকে প্রমাণিত হয় শুধু বিজ্ঞানমনস্কই নন, তিনি তখনকার প্রাগ্রসর বিজ্ঞানের একনিষ্ঠ পাঠক এবং চিন্তকও ছিলেন।
আশ্চর্য হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান কল্পকাহিনির গবেষকদের সবাই তাঁর সাহিত্যের এই দিকটি পুরোপুরি উপেক্ষা করেছেন। এই বইয়ে লেখক দেখিয়েছেন যে কয়টি গল্পকে বাংলা ভাষার প্রথম কল্পবিজ্ঞান বলে বিবেচনা করা হয়, সংজ্ঞা অনুযায়ী তা আদৌ কল্পবিজ্ঞান নয়। ঐতিহাসিক ক্রমানুসারে বেগম রোকেয়াই বাংলা ভাষার প্রথম কল্পবিজ্ঞান লেখক।
বাঙালির কাছে স্বীকৃত না হলেও লেখকের গবেষণার ফলে বেরিয়ে এসেছে যে পাশ্চাত্যের গবেষকরা সুলতানার স্বপ্নকে বিশ্বসাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান শাখায় প্রথম সারিতে ঐতিহাসিক স্থান দিয়েছেন।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম কল্পবিজ্ঞান লেখক বেগম রোকেয়া
আশরাফ আহমেদ