সে এক আশ্চর্য সময় এসেছিল বাঙালির জীবনে – মহান মুক্তিযুদ্ধ । ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে চুয়াডাঙ্গা জেলার অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকার চেয়েও বেশি । ভৈগোলিক অবস্থানগত কারণেই এই এলাকা মুক্তিযুদ্ধে প্রাধান্য পেয়েছে । পাশাপাশি জেলাবাসীর ঐতিহ্যগত বৈপ্লবিক চেতনা ও বুদ্ধিবৃত্তিক যোগ্যতা স্বাধীনতা সংগ্রামে যথাযথ ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করেছে । মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার প্রাথমিক ধাপ হলো , যেখানে যা কিছু পাওয়া যায় , সব একত্রিত করে সোপান গড়ে তোলা । কিন্তু এক – একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গেই হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায় । এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে চুয়াডাঙ্গার তরুণ লেখক ও গবেষক রাজিব আহমেদ এক যুগ আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছিলেন । চুয়াডাঙ্গা জেলার ভৌগোলিক সীমার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে যতো দৃষ্টিকোণ থেকে তথ্য – উপাত্ত যোগাড় করা সম্ভব , একটু একটু করে সবই করেছেন । প্রাপ্ত তথ্য , আলোকচিত্র ও দলিলপত্রের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে সাতটি খসড়া – গ্রন্থ । তারপর উদ্যোগী হয়েছেন সবকিছুকে দুই মলাটের ভেতরে পূণর্বিন্যাসে । এই বইটি তাই রাজিব আহমেদের এক যুগের সাধনার ফসল , চুয়াডাঙ্গা জেলার মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন । বইটি শুধু পাঠ্য নয় , অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: চুয়াডাঙ্গা জেলা
রাজিব আহমেদ