ঋদ্ধ প্রাবন্ধিক, অনুসন্ধিৎসু কবি ও সাহিত্যিক, সমাজগবেষক, ভাবুক আব্দুল জলিলের জন্ম ১১ মার্চ ১৯৪২ খ্রিঃ জামালপুর জেলার ইসলামপুরস্থ নটারকান্দায়। পিতা মুনছুর আলি ও মাতা আয়জন বিবির উজ্জ্বল সন্তান আব্দুল জলিল ১৯৬২ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন আব্দুল মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ থেকে। ১৯৬৫-তে শিক্ষায় স্নাতক এবং ১৯৭৪ সালে স্নাতক্তোর। বিভিন্ন সময় সাংবাদিকতা করেছেন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদ, মর্নিং নিউজ ও দি পিপল পত্রিকায় পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক আমলে। জামালপুর মহকুমার ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হিসেবে কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন নেতৃত্ব প্রদানের কারণে ১৯৬২ সালে কারারুদ্ধ হন। আজন্ম বিচরণশীল আব্দুল জলিল স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করেন সুধীমহল ও সর্বসাধারণ্যে। জ্ঞানী ও গুণীর সান্নিধ্যে হন আপ্লুত ও পরিতৃপ্ত। প্রচারবিমুখ এই মনীষী জীবনে বহুবার সংবর্ধিত হবার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন বিনীতভাবে। পাঠকের ভালবাসা বা সমালোচনাই সবচে’ বড় সংবর্ধনা হিসেবে বিবেচিত তাঁর কাছে। মাটি ও মানুষকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ জলিলের সার্বক্ষণিক চিন্তা বাঙালি ও বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির সমৃদ্ধি। লেখক শান্তির দূত হিসেবে ভ্রমণ করেছেন বুলগেরিয়া, হাঙ্গারি, ইউক্রেন ও সোভিয়েত-রাজধানী মস্কো। প্রেক্ষিতে নানাবর্ণের ও মতের মানুষের সান্নিধ্যে অর্জন করেছেন বিচিত্র অভিজ্ঞতা। পীর আউলিয়ার আধ্যাত্মিক আকর্ষণে আত্মবীলিন এক অমলিন বোধ চেতনার রাশ্মি আব্দুল জলিল অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার, সৃজনে নিরলস। প্রথমে পাঠ্যপুস্তক পরে সৃজনশীল রচনা তাঁর অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর। লেখকের প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থঃ একুশের কবিতা, কালে ডাক (কাব্যগ্রন্থ), একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও বাম প্রগতিশীল শক্তি (প্রবন্ধ)। জানালার চাবি (গল্প), গবেষণাধর্মী-বাংলাদেশের জীবন ও জীবিকা।
বাংলাদেশের সামাজিক ইতিহাস রাজনৈতিক ধারা
শেখ আবদুল জলিল