ইদানীং একটা তালগোল পাকিয়েছে। শক্তিধরদের কেউ কাউকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিশ্ব হিসেবে আর বলাবলি করে না। তবে সাকুল্য আদি স্বভাব ও আচরণ প্রতিনিয়ত এর মধ্যে বেফাঁস চক্কর খাচ্ছে। সবাই যার যার সীমান্তকে আঁকড়ে ধরে তার তার পরিসীমায় সৌর্য-বীর্য বাড়াতে উন্মাদাচরণ করছে। উজানে পানি বন্ধ করা, আশে পাশে যে যেখানে পারে খরা অস্ত্র প্রয়োগ করা, সাগর আকাশ অন্তরীক্ষে দখল দৌরাত্মের নির্মম খেলায় হয়েছে মত্ত। জমজমাট হচ্ছে আন্তর্জাতিকতার খেলায় সমরাস্ত্রের ব্যবসা। মানুষের পৃথিবী এখন কূটনীতিনির্ভর। অবিশ্বাস আর স্বার্থের চালাচালিতে যে যত পারদর্শী তার অবস্থান ততো মজবুত, ব্যাপৃত, বিস্তৃত। অথচ মানুষের যত প্রাপ্তি, যুগ যুগের অবদান তার উপর ভিত্তি করেইতো সামনে চলা-এই সব অবদান হাজার দিনের হাজার কালের, এর উপকারকার্যতা রাষ্ট্রের সীমান্তে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে না। জগতের সকল মানুষ এর অংশীদার। সৃষ্টি হোক, প্রসার লাভ করুক সার্বজনীন ভোগ ব্যবহার অংশীদারিত্ব-এটাই প্রত্যাশিত।
বরাদ্দের শূন্য ভাণ্ডে
মুহম্মদ মাহবুব উল ইসলাম