নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলে আফজাল। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। সংসার চলে টিউশনি করে। কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে অনার্সটা শেষ করতে পারলেও মাস্টার্স আর শেষ করা হয় না। সৌভাগ্যবশত সরকারি চাকরি হয়ে যায় আফজালের। ঘটনাক্রমে পরিচয় হয় কলেছে অধ্যয়নরত নিলুফার সাথে। অতঃপর প্রেম এবং বিয়ে।
স্বল্প আয়ের চাকরিতে বাড়তে থাকে সংসার টেনে নেওয়ার চাপ। নিলুফাও হাল ধরে সংসারের। সরকারি চাকরি আফজালের কাছে আলঅদীনের চেরাগ পাওয়ার মতো হয়ে যায় এক সময়। কয়েক মাস যেতে না যেতেই অফিসের বড়কর্তা ইফতেখার উদ্দীনের চক্রের অংশ হয়ে যায় সে। চক্রে যুক্ত হয় বন্ধু আমিনুল এবং ইউসুফ। দ্বন্দ্ব শুরু হয় ইফতেখার উদ্দীনের গাড়িচালক রনীর সাথে। রনীকে কিভাবে সামলাবে সে? সময় যত গড়িয়ে যায় দু’হাত ভরে টাকা আসতে শুরু করে। বাড়তে থাকে বয়স ও সন্তানদের সাথে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব। অনুশোচনা আসে আফজালের মনে। সে উপলব্ধি করে তার উপার্জিত অর্থ বৈধ নয়। এই সম্পদ তার কোনো কাজেই আসবে না।
অনুশোচনা থেকে প্রায়শ্চিত্ত করতে চায় সে। কিন্তু প্রায়শ্চিত্তের পথ রুদ্ধ। আফজাল কী ঘোর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে?
দেহ মনের মাজারে
শেখ বদিউজ্জামান