একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম খণ্ড
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের উপনিবেশে পরিণত হয় এবং দখলদার পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর অবধি নির্বিচারে গণহত্যার পাশাপাশি টার্গেট করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য চালিয়েছে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞ। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে উনিশ জন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আরেকজন বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। জ্ঞান-সঞ্চালন ও জ্ঞান সৃষ্টির পাশাপাশি স্বাধীনতা ও মুক্তির চেতনা নির্মাণে শহীদ এই শিক্ষকবৃন্দের অবদান নিয়ে ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মেসবাহ কামালের সম্পাদনায় লিপিবদ্ধ হয়েছে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থটি। প্রথম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তার শহীদ বুদ্ধিজীবী-ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মো. আবুল খায়ের, গিয়াস্উদ্দিন আহমদ ও মোহাম্মদ সাদেক। এছাড়া রয়েছে ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার তাত্ত্বিক কাঠামো’ এবং ‘অপারেশন সার্চলাইট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নিয়ে আরও দুটি গবেষণা। পরিশিষ্টে সংযোজিত হয়েছে কালী রঞ্জন শীল-এর ‘পঁচিশে মার্চ জগন্নাথ হলের সেই ভয়াল রাতের স্মৃতি’, যা একাত্তরের ভয়াবহতাকে নতুনভাবে স্মরণ করিয়ে দেবে।
স্বাধীনতা ও মুক্তির ভিত্তিভূমি নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বৌদ্ধিক অবদান ও আত্মত্যাগের গভীরতা অনুধাবনের জন্য গবেষণামূলক এই গ্রন্থটি অত্যাবশ্যক বলে বিবেচিত হবে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় খণ্ড
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর আলবদর ও রাজাকারদের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের উনিশ জন শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ২০ জন শিক্ষাবিদকে হত্যা করে। ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মেসবাহ কামালের সম্পাদনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ২০ জন শহীদ শিক্ষাবিদকে নিয়ে তিন খণ্ডে প্রকাশিত হচ্ছে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থটি। দ্বিতীয় খণ্ডে বরেণ্য তিন শহীদ বুদ্ধিজীবী-মুনীর চৌধুরী, সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য ও ড. সিরাজুল হক খান-এর জীবনালেখ্যর পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রোকেয়া হলে গণহত্যা’ এবং ‘আলবদর বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে মৌলিক গবেষণা-প্রবন্ধ। এছাড়া পরিশিষ্টে সংযুক্ত হয়েছে ১৯৭২ সালের দৈনিক বাংলা থেকে নেওয়া ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নির্যাতনের এক অধ্যায়’ এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুরুল উল্লার নিবন্ধ ‘জগন্নাথ হলের মাঠে ২৬ মার্চের সকালে যে মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেখেছি আমার জানালা থেকে টেলিস্কোপ লাগিয়ে মুভি ক্যামেরায় তা ধারণ করে রেখেছি’।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বুদ্ধিবৃত্তিক পটভূমি নির্মাণ এবং বাংলার জনগণের মুক্তি ক্ষেত্র তৈরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষকগণ যে অবদান রেখেছেন, তা এই গবেষণামূলক গ্রন্থের প্রধান উপজীব্য।
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - সেট
ড. মেসবাহ কামাল