এ-এক আলোপৃথিবী। প্রথমেই যে কথাশিল্পী আমাদের লাতিন আমেরিকার মহাদেশীয় অন্ধকার ভুবন আর মানুষকে চিনিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর কথা দিয়েই শুরু। কীভাবে আত্মপরিচয়ের শিখাটিকে খুঁজে নিতে হয়, কালো কী করে হয়ে ওঠে আলো, নেগ্রিচ্যুডের সেই সখ্য নিয়ে জীবনকে পূর্ণতা দিয়েছিলেন সেজায়ার। কী যে চিত্তাকর্ষক সেই গল্পগাথা! কমলালেবু গাছের ছায়াতলে লোরকার অন্তিম শয্যা রচিত হয়নি। তাঁর কঙ্কাল ও বধ্যভূমির হদিস মেলেনি আজও। চরিত্রই শাসন করেছে কুন্ডেরার ছেঁড়াখোড়া গল্প। পাসের শরীরী সংরাগ প্রেমকে নিয়ে গেছে অতীন্দ্রিয়লোকে। দস্তইয়েভ্স্কি পাপ-পুণ্যের দ্বৈরথের মধ্যে হাড়ের ভিতরে উপলব্ধি করেছেন ঘুণ। নেরুদা ধ্রুপদী থেকেও ছিলেন আধুনিক, নগীব মাহফুজ চিনিয়ে দিয়েছিলেন অন্য এক কায়রোকে। ওয়ালকট তো হয়ে উঠেছেন বিউপনিবেশিত কবি। প্রেমে জর্জরিত হাইনে প্রেমের কথা কিংবদন্তি হয়ে আছে। এসব মিলিয়েই এ বই।
হাড়ের ভিতরে ঘুণ : বিশ্বসাহিত্যের কতিপয় কুশীলব
মাসুদুজ্জামান