top of page

উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপার সম্ভাবনা আমি উপলব্ধি করেছি। তাই সিনেটে প্রথম বক্তৃতায়ই সকলের সহযোগিতায় স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর পড়বার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম। সেই লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির মর্মবাণী ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের রক্ষাকবজ ১৯৭৩ আইন অনুসরণ। আমি তা করেছি। বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষকের অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গোটা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে ফেলে। এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে মহামান্য হাইকোর্ট এগিয়ে এলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে তাদের শাস্তি পেতে হয় না, তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হয়। স্বপ্নপূরণ ফলবতী হয় না। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আলোকিত মানুষজনেরা প্রতিকুল অবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহসী হয়েছেন তাঁরা তাঁদের স্বপ্নকে হারিয়ে যেতে দেবেন না। তাঁদের  ‍দৃঢ়, ধৈর্যশীল নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যদিয়ে জাহাঙ্গীরনগর অবশ্যই স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ই হবে। স্বপ্নপূরণের এ যাত্রায় আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল-মুক্ত গণতান্ত্রিক সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা বড় প্রয়োজন হবে। এমন সম্মিলিত চেষ্টায় ‘অদ্ভূত আঁধার’ দূর হবেই। এইসব ইতিবৃত্ত নিয়ে “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ‘অবাঞ্ছিত’ একজন”।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অবাঞ্ছিত একজন

350.00৳Price
  • ড.মোঃ আনোয়ার হোসেন

bottom of page