বাংলা তারিখ ব্যবহারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তাঁর প্রণীত ‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬-দফা কর্মসূচী’র প্রকাশিত পুস্তিকাতে এবং ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে বিতরণের জন্য মুদ্রিত বাংলা নববর্ষের কার্ডে বাংলায় স্বাক্ষরসহ বাংলা তারিখ ব্যবহার করেন। তাঁর সেই নীতি ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ঐতিহাসিক-পদ্ধতি অনুসরণে বিভিন্ন স্থানে মুদ্রিত নানা মত-মতান্তর পরীক্ষাপূর্বক এ গ্রন্থটিতে প্রধানত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের বাংলা তারিখ সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। যা এ গ্রন্থটির গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংক্রান্ত অন্য যে সকল তথ্য নিয়ে নানা ধরনের মত-মতান্তর প্রচলিত তা নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণে যুক্তিনিষ্ঠ তথ্য অন্বেষণে এ গ্রন্থের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিশেষ করে জাতির পিতার জন্মের মুহূর্ত নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিসমূহ বিচার, নামকরণের সূত্র আবিষ্কার এবং তাঁর পিতা-মাতার নামের বানান-ভেদ উল্লেখের মাধ্যমে প্রকৃত রূপ শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন লোকশ্রুতি পর্যালোচনায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষের বসতিস্থাপনের কারণ ও সময়কাল নির্ণয় করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রামাণ্য তথ্যের সমাহারে প্রথমবারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালনের ইতিহাস গ্রন্থিত হয়েছে।
সার্বিক বিচারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-তথ্য : নতুন পর্যবেক্ষণ গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধু গবেষণায় অভিনব একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-তথ্য : নতুন পর্যবেক্ষণ
সাইমন জাকারিয়া