বুকের ভেতর হৃদপিণ্ড আর ফুসফুস আলাদা আলাদ অবস্থান করছে। কিন্তু একা একা তারা উভয়েই অকর্মণ্য, ক্রিয়াহীন। পৃথিবীটা এক আত্মার মমতার শরীর। ধরণীকে অগণিত খণ্ডে বিভক্তি টেনে সীমান্তে সীমান্তে ভাগ করে মাথার কিরা দেয়- ‘ডিঙ্গিয়োনা’। আলো বাতাস রোদ বৃষ্টি, ভাব অনুভূতি, প্রেম বিরহের আকুতি যন্ত্রণা, জীবজন্তু, পশু পক্ষী, সাগর পাহাড়, নদ নদী এরা কেউ সীমান্ত মানে না। কিন্তু মানুষ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নিজেকে নিজে বন্দি করেছে। নিয়মের শত বন্ধনের অক্টোপাসে নিজেকে নিজেই বেঁধেছে, হয়েছে পরাধীন।
ক্ষমতার লালসায় নিয়ত কত না গর্দান কাটা পড়ে। কাটামুণ্ডু খঞ্জরকে বলে, সগোত্রদের আরো কেটে আনো, একটা মহাসমাবেশ হবে। মুণ্ডু কারো অক্ষত নেই- মুণ্ডুগুলো এখানেই তৃপ্তির নাপাক ভাগাড়ে পায় আত্মপ্রসাদ।
স্বার্থ, লোভ, বাগ্মিতা, চাটুকারিতা প্রদর্শনে ও ব্যবহারে যারা সিদ্ধি অর্জন করে- দেশ প্রেমিক যোদ্ধা, বিপ্লবী, প্রতিবাদী, চিন্তাবিদ, গবেষক, নির্মাণ উদ্ভাবক, তথা শ্রমজীবী আমজনতার অর্জনকে যারা কুপথে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে দেশ ও সমাজে চরম দুর্দশা, বিপর্যয়, অস্থিরতা ডেকে আনে, দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের ভাগীদার তাদের স্বভাব অভ্যাস খেল তামাশার বিদগ্ধ বয়ান আলোচ্য গ্রন্থে সহজিয়া ধারায় অনুপ্রাসিত।
কাটামুণ্ডুর আর্তনাদ
মুহম্মদ মাহবুব উল ইসলাম