বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং মহত্তম অর্জন হচ্ছে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধে বিজয় লাভ। এ যুদ্ধ দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচলিত পদ্ধতির যুদ্ধ ছিল না। শুরু থেকেই এ যুদ্ধ হয়ে ওঠে জনযুদ্ধ, ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সব বাঙালির আত্মরক্ষা এবং আত্মপ্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। দেশের সব মানুষের সঙ্গে শিশুকিশোররাও হাসতে হাসতে জড়িয়ে পড়ে এ যুদ্ধে। সারা দেশের মানুষ এর আগে কখনো এমন নিবিড় আন্তরিকতায় ঐক্যবদ্ধ হয়নি। সকলের অংশগ্রহণের কারণেই বাঙালির এই সাহসী যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। এ দেশের ঘরে ঘরে ওড়ে বিজয় পতাকা।
মুক্তিযুদ্ধের শৌর্য-সাহসিকতা, দুঃখ-দুর্দশা, সামাহীন ত্যাগ ও আনন্দের আখ্যান নিয়ে বাংলাদেশে স্বতন্ত্র এক সাহিত্যধারা সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য নামে, আমাদের কিশোরসাহিত্যেও যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। ছোটদের জন্যেও ছড়া কবিতা উপন্যাস নাটকের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা হচ্ছে অসংখ্য কিশোরগল্প। বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধের কিশোরগল্পে এনেছেন বহুমাত্রিক বিস্তৃতি ও ব্যঞ্জনা। ফলে যুদ্ধের গল্প হয়েও কেবলমাত্র অস্ত্র-গোলাবারুদের গগণবিদারী শব্দ নয়, তাঁর কিশোরগল্পে জীবনের স্পন্দন শোনা যায়।
রফিকুর রশীদের লেখা মুক্তিযুদ্ধের কিশোরগল্পলোকে এক মলাটের মধ্যে এনে সকল শ্রেণীর পাঠকের কাছে নান্দনিক এই উপস্থাপন।
মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প
রফিকুর রশীদ