দেশকে আমরা মায়ের সম্মান দিয়ে দেশমাতৃকা বলে থাকি। আমাদের এই সবুজ-শ্যামল দেশমাতৃকা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস জননীর নাড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে আসার মতোই বেদনা ও গৌরবে ভাস্কর।
হাজার বছরের সেই শ্রেষ্ঠ অর্জনের প্রতিটি পর্বে রয়েছে নারীর অকৃত্রিম ও তুলনাহীন ভূমিকা। মুক্তির সংগ্রামকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে বাংলার নারীরা যেমন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সংগঠকের ভূমিকায়, তেমনই দেশকে শত্রুমুক্ত করতে তাঁরা হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। শত্রুনিধনে সম্ভব সব ধরনের ভূমিকাই পালন করেছেন আমাদের মায়েরা, বোনেরা।
দেশের পতাকা মুক্ত বাতাসে ওড়ানোর জন্য একাত্তরে অসংখ্য নারীকে পিষ্ট হতে হয়েছে যন্ত্রণার যাঁতাকালে। তাঁদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ আমাদের চিরঋণী করে রেখেছে, যে ঋণ অপরিশোধ্য।
মুক্তিসংগ্রামে নারীর অংশগ্রহণ, বীরত্ব, সকল ত্যাগ ও বঞ্চনার কাছে আমরা ঋণী। কিন্তু তাদের ঋণের কথা, অবদানের কথা যথাযথভাবে আজও ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পায়নি। তাঁদের বীরত্ব, অবদানকে উদ্ভাসিত করার লক্ষ্যেই প্রণীত হয়েছে মুক্তিসংগ্রামে নারী গ্রন্থটি।
মুক্তিসংগ্রামে নারী
অপূর্ব শর্মা