রাহনুমা সালাম খানের কবিতা মনের স্বতঃস্ফূর্ত উৎসারিত বিন্যাস, যা যে কোনো পাঠককে চমকে দিতে বাধ্য। পাঠক তাঁর নিজের যাপিত জীবনকে যেমন আবিষ্কাার করবেন, ঠিক তেমনি তাঁকে ভাবিত করবে জীবনের অর্থ খুঁজতে। এই অর্থ খোঁজার আকুতি এক চিরন্তন বাস্তবতা।
কবি একদিকে যেমন প্রকৃতি নিয়ে তাঁর উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে সমাজের অসংগতিকে বিদ্রুপ করেছেন অসীম সাহসে। নাগরিক জীবনে অসংগতি যেমন তাঁর বিষয়বস্তু, তেমনি মানবজীবনের একাকিত্বকে এক অসাধারণ তুলিতে এঁকেছেন। দিন শেষে আশা আর দিনবদলের প্রত্যয় দিয়ে গ্রন্থনা শেষ করেছেন।
‘হুইসেলের শব্দ ক্রমশ স্পষ্ট হতে হতে অবশেষে শেষ ট্রেনটি পৌঁছায় প্ল্যাটফর্মে
নির্দিষ্ট কামরায় দিনশেষে একাকী নিজের মুখোমুখি নিশ্চুপ বসে রই
হিসাবের খাতা খুলে দেখি বেলাশেষে নিজের অর্জন কেবল প্রিয় কিছু মুখ
বিরহের পেয়ালার শেষ চুমুকেও তাই উন্মুখ হই আরেকটু বাঁচার আকাক্সক্ষায়
কারণ আকণ্ঠ বিষপানের পরও এ হৃদয় জানে বেঁচে থাকায় কী সুখ
তাই আমি কখনো হই নীলকণ্ঠ, কখনো-বা আত্মহারা কিংশুক।’
নীলকণ্ঠ ও আত্মহারা কিংশুক
রাহনুমা খান