আমাদের দুঃখসমগ্র—কেবলই কী নিয়তি, না পরিণতিও! সার্বজনীন এ বিতর্ক চিরন্তন। এক প্রকার দর্শন বলে, সর্বস্বান্ত অসহায় মানুষের অলীক আশ্রয়ের অনুসন্ধানেই অলৌকিক ঈশ্বরের আগমন। তার হাত ধরেই ধর্মের প্রাবল্য, প্রতিপত্তি; স্বর্গ ও নরকের বিবৃত আকর্ষণ আর সতর্কীকরণ। তবুও সফল এবং সার্থক মানুষেরা সুসময়ে তার অলৌকিক ঈশ্বরকেই ভুলে বসে থাকে। আবার যখন বিপদাপন্ন হয়, হোঁচট খায়, তখন তার ধর্মবোধের পুনঃউন্মেষ ঘটে। এ পালায় হয় সে তার ঈশ্বরের নিকট অনুতপ্ত হয় কিংবা দুর্গতির জন্য ঈশ্বরকেই দোষারোপ করে বসে। এক সময় সে তার ভুল বুঝতে পারে, পরবর্তী সময়ে আবারও সে একই ভুল করে। এভাবেই চলতে থাকে ভ্রান্তি-শুদ্ধির নিয়তিচক্র।
এ কাব্যগ্রন্থে কোথাও আছে অদৃষ্টের প্রতি ক্ষোভ, অভিমান আর উপহাসের আভাস; আবার কোথাও আছে চেতনার উন্মেষ, উপলব্ধি আর সমর্পণের প্রয়াস। শান্ত কিন্তু গভীর নদীর মতন সহজ কিন্তু গূঢ় তাৎপর্যময় অনেক কবিতা পাঠককে ভাবনার তরঙ্গে আন্দোলিত করবে।
নিয়তি কিংবা পরিণতি
শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম