বাংলা ভাষায় পবিত্র কোরআন কখন থেকে অনূদিত হতে শুরু করেছিল তা নিয়ে বিতর্ক বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে উত্তপ্ত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, গিরিশচন্দ্র সেনই প্রথম কোরআনের অনুবাদক (১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে)। আবার কেউ কেউ বলেছেন, পবিত্র কোরআনের প্রথম অনুবাদক আমীর উদ্দীন বসুনিয়া (১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে)। ড. মোহাম্মদ হাননান এ গ্রন্থে দেখিয়েছেন কোরআনের প্রথম ‘পূর্ণাঙ্গ’ অনুবাদ আগেও কোরআনের ‘খণ্ডিত’ অনুবাদ নানাভাবে হয়েছে।
ড. হাননানের গবেষণায় এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো ইতিহাসে এলো কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের নাম। তিনিই প্রথম কোরআনের খণ্ডিত অনুবাদ করেন। সুরা ইউসুফ তিনি অনুবাদ করেন ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দে। সুতরাং বাংলা ভাষায় পবিত্র কোরআন অনুবাদ হচ্ছে আজ থেকে প্রায় ছয়শ বছর আগে থেকে। এটা আমীর উদ্দীন বসুনিয়া (১৮০৮) এবং গিরিশচন্দ্র সেন (১৮৮৫)-এরও চারশ বছর আগের ঘটনা। ড. হাননানের এ গবেষণা বাংলা ভাষায় কোরআনের অনুবাদের ইতিহাস নতুন এক উপাদান। এর আগে এরকম গবেষণা কেউ করেননি।
গ্রন্থটিতে বিভিন্ন সময়ে যারা কোরআন অনুবাদ করেছেন তাঁদের নাম এবং রচনা নিয়েও তুলনামূলক বিশ্লেষণ রয়েছে। রয়েছে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, ব্রাহ্ম সমাজ দ্বারা অনূদিত কোরআনের তুলনামূলক আলোচনাও। বাংলার বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী, নারীসমাজ এবং কবি-লেখকরাও কোরআন অনুবাদ করেছেন তার নানা তথ্যও এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
পবিত্র কোরআন বাংলা অনুবাদের ইতিহাস ও তুলনামূলক আলোচনা
ড. মোহাম্মদ হাননান