“ইয়্যাং’ ও ‘ইন” প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বেকার চীনা দর্শনের একটি মৌলিক ধারণা। এ ধারণার ভিত্তিতে লাওসি কর্তৃক প্রবর্তিত তাওবাদ চীনে অনুসৃত বৌদ্ধ ও জাপানের শিন্টো ধর্মকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছিল। প্রকৃতির বৈপরীত্য ও বিপরীতমুখী স্রোতের মধ্যে থেকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সমতা ও ভারসাম্য আনয়নের পথ অনুসন্ধান করাই ছিল তাওবাদের মূল উপজীব্য। তাওবাদের মূল গ্রন্থ তাও তে চিং-এর ইংরেজি অনুবাদ এবং তাওবাদ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি লেখার ভিত্তিতে ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ ২০০৭ সালে এদেশে প্রথমবারের মতো তাও তে চিং-এর পরিমার্জিত অনুবাদ সন্নিবেশিত করেছেন। এতে অর্থ পরিষ্কার করার জন্য যেমন চারটি ভিন্ন রকম অনুবাদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে, তেমনি প্রয়োজন অনুযায়ী অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদি বাংলা অনুবাদের সাথেও মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত প্রাচীন দর্শনের অপর প্রধান গুরু কনফুসিয়াসের প্রতিনিধিত্বমূলক লেখা অনুবাদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সূত্রের পাশাপাশি অক্সফোর্ডের এ কম্প্যানিয়ন টু ফিলসফার্সসহ বেশ কিছু তথ্যসূত্রের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। লাওসির মতবাদের সঙ্গে কনফুসীয় দর্শন যুক্ত করে বর্তমান গ্রন্থে প্রাচীন চীনা দর্শনের মূল স্রোতধারার সাথে বাঙালি পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি প্রয়াস চালানো হয়েছে।
প্রাচীন চীনা দর্শন: লাওসি ও কনফুসিয়াস
হেলাল উদ্দিন আহমেদ