থিবি নগরে নেমে এসেছে দুর্যোগের ঘনঘটা । চাষের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মানুষ রোগে প্রাণ হারাচ্ছে। সন্তান প্রসবকালে প্রাণ হারাচ্ছে মায়েরা, কিংবা তারা মৃত শিশুর জন্ম দিচ্ছে। এই মহামারির হাত থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে সবাই সমবেত হয়েছেন রাজদরবারে।
রাজা ইদিপাসের ওপর সবার ভরসা গভীর । কারণ অতীতে আরো একবার বিপন্ন হয়েছিল তাদের নগর। বিদেশে তীর্থযাত্রায় গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিহত হয়েছিলেন তাদের বিগত রাজা লাইয়োস । ক্ষমাহীন বিশ্বাসঘাতক দানব স্ফিংকস হানা দিয়েছিল থিবি নগরে । এই দুঃসময়ে নগরে আগমন ঘটেছিল এক বিদেশি যুবকের । বুকে তার অদম্য সাহস, মস্তিষ্কে বুদ্ধি ক্ষুরধার । নাম ইদিপাস । সেই রক্ষা করেছিল থিবিকে।
এদিকে দেবতার মন্দির থেকে আগত দৈববাণীর দিকনির্দেশনা সবার পিলে চমকে দেয় । চলমান মহামারির উৎস নাকি থিবির মাটিতেই । লালিত-পালিত হচ্ছে; নগরের বিগত রাজার হত্যাকারী নগরে বহাল। তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে! এই পাপীকে নিষ্ক্রান্ত করা না গেলে ধ্বংস হবে দেশ।
এবার স্বয়ং রাজা ইদিপাস নামলেন এই পুরোনো হত্যার তদন্তে । স্মৃতির গলি-ঘুপচি, সাক্ষীদের জেরা, আর অন্ধ দ্রষ্টার ভয়ংকর বয়ান থেকে রহস্যের অন্ধকার ভেদ করে ধীরে ধীরে ফুটে উঠল নির্মম কিছু সত্য, মানুষের অসহনীয় অন্তর্জগৎ-সভ্যতার আদিম সংঘাত।
রাজা ইদিপাস
সোফোক্লিস