‘সারদামঙ্গল’ কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী শ্রেষ্ঠ কাব্য। এপি মূলত গীতিকবিতাধর্মী কাব্য। কোনো কোনো সমালোচকের মতে, মহাকব্যের পরাক্রম ধারার পাশে সারদামঙ্গল গীতিকাব্যের আবির্ভাব এবং শেষপর্যন্ত গীতিকাব্যের কাছে মহাকাব্যের পরাজয়ের ইতিহাসে সারদামঙ্গল একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ কাব্য। সারদামঙ্গল কাব্য সম্পর্কে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন : ‘সূর্যাস্ত কালের সুবর্ণমণ্ডিত মেঘমালার মত সারদামঙ্গলের সোনার শ্লোকগুলি বিবিধরূপের আভাস দেয়। কিন্তু কোন রূপকে স্থায়ীভাবে ধারণ করিয়া রাখে না। অথচ সুদূর সৌন্দর্য স্বর্গ হইতে একটি অপূর্ণ পূরবী রাগিণী প্রবাহিত হইয়া অন্তরাত্মাকে ব্যাকুল করিয়া তুলিতে থাকে।’ সারদামঙ্গল কাব্যে কবি বিহারীলালের সৌন্দর্যচেতনা ও গীতিবৈশিষ্ট্য পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। বাংলা কাব্যসাহিত্যের ইতিহাসে ‘সারদামঙ্গল’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারণ, আখ্যানকাব্য-মহাকাব্য ধারার পর তিনিই প্রথম বাংলা কাব্যের ইতিহাসে গীতিকবিতার উৎসমুখ খুলে দিয়েছিলেন।
সারদামঙ্গল
বিহারীলাল চক্রবর্ত্তী