জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযােদ্ধারা ও লক্ষ লক্ষ শহীদ পৃথিবীর বুকে একটি নতুন মানচিত্র এঁকেছিলেন, যার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে তারা অমর হয়ে আছেন, কিন্তু দুঃখজনক বিষয় বার বার চেষ্টা করা হয় এই রক্তক্ষয়ী ইতিহাস বিকৃত করার। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এম. মনসুর আলীর অবদান অবিস্মরণীয়। যুদ্ধজয়ী হওয়ার পর এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সােনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন তিনি যােগাযােগ মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন। ছুটে বেড়িয়েছিলেন এ দেশ গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু অপশক্তিরা তাকে ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর জেলে হত্যা করেছিল । শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানি করেননি বলে । শুরু হলাে তাদের উত্তরসূরীদের উপর নির্যাতন। শত বাধা-বিপত্তির সাথে সংগ্রাম করে জেল-জুলুম লাঠির আঘাত সহ্য করে পরবর্তী প্রজন্ম জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক আবহ তৈরি করে। এ এক নতুন সংগ্রাম। সংগ্রামের সফলতায় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নেতৃত্বে আসে। শহীদ এম. মনসুর আলীর সুযােগ্য সন্তান মােহাম্মদ নাসিম দেশরত্ন শেখ। হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় বাবার মতাে থাকেন, কিন্তু অপশক্তির চক্রান্তে সবসময় চলতে থাকে। বার বার ঘায়েলের চেষ্টা । তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য হন। অবৈধ সরকার তাকে আইনি জটিলতায় ফেলে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসতে দেননি, কিন্তু তার সন্তান তানভীর শাকিল জয় সংসদ সদস্য হন শহীদ এম. মনসুর আলী ও মােহাম্মদ নাসিম-এর প্রতি জনগণের ভালােবাসা ও শ্রদ্ধা থেকে। দিন বদলের ইতিহাস এই বইয়ে সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে সংলাপের মাধ্যমে। প্রস্ফুটিত হয়েছে দীর্ঘদিনের ইতিহাস, সেই সঙ্গে একটি ত্যাগী পরিবারের রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রাম।
সংসদে তিন প্রজন্ম
মোহাম্মদ নাসিম