বঙ্গবন্ধুর পরিচয় অনেক। প্রথম পরিচয় টুঙ্গিপাড়ার খোকা। কৈশোর উত্তীর্ণের পর শেখ মুজিব নামে বেড়ে উঠতে থাকেন। তখন থেকে তার মাঝে মানবসেবা ও দাবি আদায়ের মনোভাব গড়ে ওঠে। একইসঙ্গে সাংগঠনিক তৎপরতাও লক্ষ করা যায়। স্কুলের সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার আগে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে আসেন। রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হন এবং তার রাজনৈতিক পরিচয় শুরু হয়।
মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারার এক অপূর্ব ক্ষমতা তার। অতি সহজে তিনি মানুষকে আপন করে নিতে পারেন। অদ্ভুত এক সম্মোহনী শক্তি তার মাঝে বিরাজ করে। একবার যার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাকে আপন করে নিয়েছে। তার নামধাম মনে রেখেছে। সে আর কখনো ছেড়ে যেতে পারেনি, ভুলতে পারেনি তাকে।
বঙ্গবন্ধু একজন রাজনীতিবিদ। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল ভিত্তি জনগণ। তিনি মানুষকে ভালোবাসার মধ্যে শক্তি খুঁজে পেতেন। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি আজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। শত বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে এগিয়ে গিয়েছেন। জেল-জুলুম-অত্যাচার নির্যাতন কোনো কিছু তাকে থামাতে পারেনি।
দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে তোলেন। স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে উজ্জীবিত করেন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্বপ্নে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন।
সর্বকালের বঙ্গবন্ধু
নাসের রহমান