top of page

মহামতি কার্ল মাকর্স ও ফ্রেডারিক এঙ্গেলস-এর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের দার্শনিকতার উপর ভিত্তি করে ১৯১৭ সালে। রাশিয়ায় কমরেড ব্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বলশেভিকরা কমিউনিস্ট পার্টি) রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন রাষ্ট্র গঠন করে । এর ফলে অনাদিকাল থেকে রাষ্ট্রে ও সমাজে যে বৈষম্যমূলক শোষণ-বঞ্চনা ও পশ্চৎপদতা বিরাজ করছিল তার অবসান ঘটে এবং সকল মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত ও সাম্য প্রতিষ্ঠা হয়।

 

মাত্র ছ’ বছরের মাথায় সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কমরেড লেনিনের মৃত্যু ঘটলে ১৯২৪] তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি কমরেড জোসেফ স্ট্যালিনের উপর ভার পড়ে পৃথিবীর বুকে প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রটির বিনির্মাণের তার যোগ্য নেতৃত্বে এবং শক্ত হাতে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্ব-মানচিত্রের বিশাল অংশে একটি বৃহৎ শক্তি রূপে আবির্ভূত হয়। ফলে দুনিয়া ব্যাপী মেহনতী মানুষের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান হয়পূর্ব ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র এবং এশিয়ার বৃহৎ চীন সহ । পৃথিবীর দেশে দেশে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে।

 

অন্যদিকে বৈষ্যম্যহীন এই সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধনতান্ত্রিক বিশ্ব তথা সাম্রাজ্যবাদ কখনোই মেনে নিতে পারেনি- আঁতুড়ঘরেই গলাটিপে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীর সিপাহশালার অবিচল স্ট্যালিনের জন্য। কমরেড স্ট্যালিন দুনিয়াব্যাপী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের লাল ঝা-াবাহী আলোকিত মহাপুরুষ। আর এ কারণেই সাম্রাজ্যবাদের ভয় স্ট্যালিনকে এবং সকল অসূয়া-বিদ্বেষ তাঁর প্রতি। মৃত্যুর [১৯৫৩] পরও স্ট্যালিন তাদের এক নম্বর শত্রু। মূলত এ কারণেই এরা তাকে প্রথম থেকেই দানব’ রূপে। প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে এবং এখনো তারই ধারাবাহিকতা চলছে। এ জন্য সাম্রাজ্যবাদ ঘরের শত্রু বিভীষণদের ব্যবহার ও বাইরে থেকে নানা অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। আর তারই একটি অপচেষ্টা হলো সম্প্রতি ঢাকায় মঞ্চস্থ স্তালিন” নাটক । ফলে এই নাটক নিয়ে স্ট্যালিন বিরোধী ও স্ট্যালিনপন্থীদের মাঝে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে- এ গ্রন্থটি এই বিতর্ককে কেন্দ্র করেই । আশা করা যায় পাঠক এতে অনেকটাই সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের ভাঙ্গাগড়ার সত্য ইতিহাস উদঘাটন ও অনুধাবন করতে পারবেন ।

শুভাগমন স্ট্যালিন

500.00৳ Regular Price
375.00৳Sale Price
  • মুস্তাফা মজিদ সম্পাদিত

bottom of page