কবিমাত্রই আনন্দের অভিযাত্রী। কিন্তু সব কবিই কি আনন্দকে উদযাপনের সঙ্গী করতে পারেন? নিশ্চয়ই না! প্রাত্যহিকতার জোয়ার-ভাটায় সেই আনন্দ যেন হারিয়ে যায় মহাসমুদ্রের চোরাবালিতে। তবে, কেউ কেউ সেই আনন্দকে অহর্নিশ তালাশ করেন। তাকে বিনির্মাণের চেষ্টা করেন নিজের মতো করে। আমরা তার আবিষ্কারকে অবয়ব দিয়ে কখনো কখনো ভ্রান্ত হই। কবি শেখ মুসলিমা মুন স্বপ্নলোকের নদী-তে যে আনন্দের কথা বলেছেন, সেই আনন্দকে তিনি বিনির্মাণ করেছেন তার মতো করে। যে আনন্দের আবাস তার ভাবনার জগতে, তাকে তিনি চিত্রিত করেছেন কাব্যে, পঙক্তিমালায়। সেই আনন্দে তিনি অবগাহন করেন, তাকে নির্দ্বিধায় বলেন না-বলা মনের কথা। তার কাছে সমর্পণে কবির কোনো সংশয় নেই। কারণ, সে কখনো তাকে নিয়ন্ত্রণ করে না, বিধিনিষেধের বেড়াজালে তাকে আবদ্ধ করে না। আনন্দের কাছে কখনো আহত হয় না তার আবেগ। আনন্দ তার একাকিত্ব আর নির্জনতার সঙ্গী। সে তাকে প্রাণিত করে, সৃজনশীলতায় জোগায় রসদ, স্বপ্নচারী মনকে করে সৃজনধারায় অনুরণিত, ভালোবাসা আর প্রেম-বিরহের ক্যানভাসকে করে বহুবর্ণিল। কবির নির্মাণ হলেও এই আনন্দ সার্বজনীন, অপার। তাই এ কথা অকপটেই বলা যায়, অমরতার পথে প্রবহমান থাকবে শেখ মুসলিমা মুনের এই সৃষ্টি। এখানেই কবি হিসেবে তাঁর সার্থকতা।
স্বপ্নলোকের নদী
মুসলিমা মুন