একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ কীভাবে হঠাৎ করে কিছুদিনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে আংশিকভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে এবং সেই ব্যক্তি কীভাবে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার সংগ্রামে ব্রতী হয় তার কাহিনি, বিশেষ করে তার মানসিক অবস্থা বর্ণিত হয়েছে এই বইতে। লেখক ১৯৯১ সালের অক্টোবর মাসে ব্রুনাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা কালে হঠাৎ গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্রেন অপারেশনের পর এক সময় তাঁর ডাক্তার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আরোগ্যলাভের জন্য লেখক যে কোনো কষ্ট স্বীকার করতে রাজি ছিলেন। স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা শেষ পর্যন্ত তাঁকে চরম পরিণতির হাত থেকে রক্ষা করে। দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসাকালে তাঁর মানসিক অবস্থা বইয়ের উৎসর্গ-পত্রে বিধৃত হয়েছে। লেখক বলেন, শারীরিক কারণে তাঁর ছোট মেয়ে রূপন্তীকে ঘোরা-ফেরা ও খেলা-ধুলার ব্যাপারে সঙ্গ না দেওয়া এবং স্কুলে না দিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর নিজের মনোবেদনা কন্যার বেদনা থেকে শত গুণ বেশি ছিল। বড় হয়ে এই বই পড়ে সে তার বাবার অক্ষমতার কারণ অনুধাবন করতে পারবে বলে লেখক আশা করেন। এই বইয়ে বর্ণিত ঘটনাবলি এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে হৃদয়গ্রাহী বিবরণ পাঠকের হৃদয় স্পর্শ না করেই পারে না।
তোমাদের ভালবাসায় ফিরিয়ে এনেছে মোরে
শফিক সিদ্দিক