মুক্তিযুদ্ধ আর এক ধরনের না-বলা প্রেমের গল্প দিয়ে তৈরি হয়েছে তোমর না আসার বার্ষিক’ উপন্যাসটি। রুনু নামের একজন সম্ভ্রম হারানো নারী রিয়াজ নামের একজন ডানাহীন মানুষের জন্যে নির্মাণ করছিল দুটো অপরূপ ডানা। উড়তে না-পারা, নিজের ভেতরে সেঁধিয়ে থাকা, অথচ ভেতরে ভেতরে একজন জেদি মানুষকে লালন করতে থাকা রিয়াজ উড়তে যখন শুরু করছিল রুনুর আশ্চর্য স্পর্শ পেয়ে, ঠিক তখনই সেই স্পর্শকে তুলে নিয়ে চলে গেল সেই নারী। কিন্তু কেন চলে গেল সেই কথা জানতেও পারল না রিয়াজ। জানবার জন্যে কোনো সূত্রও রেখে গেল না রুনু। কিন্তু রিয়াজের জন্যে রুনু অজান্তে রেখে গেল একটি স্পর্শের ওম আর সুগন্ধ। সেই ওম আর সুগন্ধটুকুকে ভুলতেও পারেনা রিয়াজ, এবং সেই সঙ্গে তাকে অন্য নারীর শরীরের ভাঁজে গুঁজে দিয়ে সে উদযাপিত করতে চায় এক আশ্চর্য আকাঙ্ক্ষার আঙ্গিনায় পূর্ণিমার কোনো সন্ধ্যা কিংবা রাত্রিকে। যেমন রিয়াজ জানে না তেমনি তার পাঠকরাও হয়তো জানতে পারল না, কথা দিয়েও কেন এলো না রুনু। রুনুর না আসার বার্ষিকীতে রিয়াজের কাছে রুনু কি তবুও আসে, না-আসতে আসতেও? রুনু আসুক, কি না-আসুক, চাঁদের সন্ধ্যায় রিটা কিন্তু আসে। রিয়াজ সেই কথাই জানান দিতে চায় রুনুকে, বলে, রুনু, খুব আনন্দিত হয়ে এসেছে আজ রিটা। ওকে আমি বসিয়ে এসেছি আমার চাঁদের আলোর ব্যালকনিতে!
তোমার না আসার বার্ষিকী
জাহিদুল হক