বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল ও ব্যতিক্রমী অধ্যায় নৌ-কমান্ডো অভিযান। একাত্তরের মধ্য-আগস্টে দেশের বিভিন্ন সমুদ্র ও নৌ-বন্দরে অভাবিত ও আকস্মিক যুগপৎ আক্রমণ নিমেষে পাল্টে দেয় যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি। জীবন উৎসর্গ করার অঙ্গীকার নিয়ে আত্মঘাতী কমান্ডো দলে যোগ দিয়েছিলেন একঝাঁক তরুণ। তাদেরই একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র মো. আজিজুল আলম। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ছাত্রজীবন শেষ করে গবেষণাকর্মে, কলেজ শিক্ষকতায় এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
এই বীর যোদ্ধা আজন্ম স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে লালন করেছেন। তাঁর স্বপ্নকে সার্থক করে তোলার অপূর্ব সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন তাঁর যৌবনে। সেটাই ছিল তাঁর যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময়। অবসর জীবনে তিনি দেশ, দেশের মানুষ, দেশের স্বাধীনতা এবং দু’দশকেরও অধিককাল পরাধীনতার নাগপাশ থেকে দেশমাতৃকার মুক্তি আন্দোলনে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন সে সকল অগ্নিযুগের মহাপুরুষদের নিয়ে তোমরা অজয় অমর অক্ষয় গ্রন্থটি রচনার প্রয়াস পেয়েছেন। একই সাথে তাঁর এক শহীদ সহযোদ্ধা বন্ধুর মহান আত্মত্যাগের অমর গাঁথা তুলে ধরেছেন। আমরা আশা করব এ গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বেদিমূলে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের মহান আত্মত্যাগের কাহিনি পাঠক হৃদয়কে আপ্লুত করবে।
তোমরা অজয় অমর অক্ষয়
নৌ-কমান্ডো মো. আজিজুল আলম