বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সমিতি ১৯৭১ সালে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প ঢেলে সাজানোর উপযোগী একটি নীতিমালা প্রস্তুত করে। জহির রায়হান, আলমগীর কবির ও সৈয়দ হাসান ইমামের নির্দেশনায় প্রণীত পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল চলচ্চিত্রকে সমাজ বদলের হাতিয়ার বানান, চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলীদের স্বার্থরক্ষা আর এ শিল্পের বিকাশ সার্থক করা। এই পরিকল্পনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের হাতে জমা দেওয়া হয়, ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর নীতিমালার খসড়ায় সামান্য পরিমার্জনাও করা হয়, কিন্তু বাস্তবায়নের পথে আর কোন অগ্রগতি ঘটে নাই।
চলচ্চিত্র শিল্প জাতীয়করণ নীতিমালা এ দেশের সংস্কৃতি আন্দোলনের ঐতিহাসিক দলিল-মুক্তিকামী জনসাধারণের স্বপ্ন আর আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। হারিয়ে যাওয়া সেই প্রয়াস স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রথমবারের মত প্রকাশিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সমিতি
গঠনের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংঘবন্ধ ও সহযোগিতা করা আর ন্যায়যুদ্ধের প্রচারণা জোরদার করা। সভাপতি জহির রায়হান এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমামের নেতৃত্বে সমিতির মূল কাজ ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলীদের খাদ্য, বাসস্থান এবং ভাতাসহ সর্বাঙ্গীণ কুশলের ব্যবস্থা করা। সমিতির অন্যতম কীর্তি মুক্তিযুদ্ধের মুহূর্তে চারটি অমূল্য চলচ্চিত্রের প্রযোজনা: ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘এ স্টেট ইজ বর্ন’, ‘লিবারেশন ফাইটার্স’ এবং ‘ইনোসেন্ট মিলিয়নস’।
চলচ্চিত্র শিল্প জাতীয়করণ নীতিমালা ১৯৭১
মীর শামছুল আলম বাবু