top of page

বন্ধুর প্রতি দায় ও ভালবাসার সামাজিকতা যুগপৎ আনন্দ ও পীড়ার কারণ হতে পারে। আনন্দ এই কারণে যে বন্ধুত্বই রাজনীতি –কারণ রাজনীতি আরম্ভ হয় বন্ধুত্ব দিয়ে, কোনো চাঁছাছোলা আদর্শ দিয়ে নয়। কোনো না কোনো আদর্শ দ্বারা তাড়িত হয়ে, জেনে বা অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যক্তি রাজনৈতিক হয়ে ওঠে। তাহলে, বন্ধুত্বের সামাজিকতা কি নিছকই বন্ধুত্ব ?  এর পেছেনে কি অন্য কিছু কাজ করে না ? যদি অর্থনৈতিক কোনো স্বার্থ না থাকে তাহলে বন্ধুত্বের সামাজিকতার ভিত্তি কী দিয়ে বঝব আমরা ? কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় ? বন্ধুবান্ধব যখন একত্র হয় তখন নিশ্চয়ই ন্যূনতম কোনো একটা ‘ডাক’ কাজ করে যাকে রক্ত, পারিবারিক বা জাতিগোষ্ঠী সম্পর্ক বা আর্থসামাজিক লেনদেন থেকে আলাদা করেই বুঝতে হবে। যদি আলাদা করা হয় তাহলে রক্ত, পারিবারিক বা জাতিগোষ্ঠী থেকে আলাদা করেই বুঝতে হবে। যদি আলাদা করা হয় তাহলে রক্ত, পারিবারিক বআ জাতিগোষ্ঠী থেকে বন্ধুত্বের দূরত্ব, আর অন্যদিকে বন্ধুত্ব থেকে রাজনীতির দূরত্ব কত দূর ? কী করে তা পরিমাপ করা যাবে ? এই তর্ক থেকেই সেই গুরুতর রাষ্ট্রনৈতিক প্রস্তাবনার উৎপত্তি : রাজনৈতিক হয়ে ওঠার মানে শত্রুমিত্র ভেদজ্ঞান নির্ণয়। ব্যক্তি, বন্ধুত্ব ও সাহিত্য কে আশ্রয় করে  রাজনৈতিক সম্পর্কের পর্যালোচনা করেছেন ফরহাদ মজহার, যা পাঠককে রাজনীতির নতুনতর  দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পরিচয় ঘটাবে।

ব্যক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য

450.00৳ Regular Price
337.50৳Sale Price
  • ফরহাদ মজহার

bottom of page